Wednesday, May 4, 2022

 Innova গাড়িটা জঙ্গল এর gate টাকে বাঁ হাতে রেখে একটা দুদিক খোলা রাস্তা ধরলো। একটু যেতেই আমাদের ড্রাইভার বললো ওই দেখুন হাতি।  সত্যি তো বাঁ দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখি এক পাল হাতি ঘাসভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর একটু তাকিয়েই দেখলাম একটা গন্ডার ও দিব্বি ঘাস খাচ্ছে। আমরা হুমড়ি খেয়ে দেখতে দেখতেই হঠাৎ ডান হাতে আমাদের হোটেল এর গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল।  আমরা পৌঁছলাম মানস অভয়ারণ্যের Musa Jungle Retreat এ। এটাই আমাদের আগামী ৩ রাতের ঠিকানা।  

এ বছর বইমেলা থেকে নারায়ণ সান্যাল এর গজমুক্ত নামে একটা বই কিনেছিলাম। নিজের গড়িমসিতেই প্রায় ২ মাসের চেষ্টায় বই টা যখন শেষ করলাম তখন থেকেই আসামের জঙ্গল এ হাতি দেখার ইচ্ছে তা প্রবল ভাবে দোলা দিতে লাগলো মনে। তাই যখন ১৪২৯ এ বাংলা নববর্ষ( ইংরেজি ২০২২) উপলক্ষে একটা long weekend পাওয়া গেলো তখন বেরিয়ে পড়লাম মানস এর পথে। ভোর বেলায় ছোট্ট plane এ চেপে গোয়াহাটি নামলাম ৮:৩০ নাগাদ। সেখান থেকে হোটেল এর গাড়িতে প্রায় ৩ ঘন্টার পথ। 

মানস অভয়ারণ্য আসামের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত প্রায় ১০০ বছর পুরোনো একটা UNESCO Natural world heritage site । এই জঙ্গলের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে majestic মানস নদী যার অপর প্রান্তে ভুটান। আমরা ছিলাম বাঁশবাড়ি range এ। রাস্তার একদিক এ বেড়া দিয়ে ঘেরা জঙ্গলের ঘাসভূমি আর ওপর দিকে পর পর কিছু হোটেল। আমাদের হোটেলটা এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর এবং অনেকটা জায়গা জুড়ে। হোটেল এর আরেকদিক এ একটা চা বাগান। সবমিলিয়ে মনোরম পরিবেশ। 

পরের দিন ভোরবেলা আমরা হোটেল এর গাড়িতে করে গেলাম হাতির পিঠে চেপে প্রথম সাফারি তে। দুটো বিনম্র হাতি একজনের নাম দুই মালি আর আরেকজন মোহন। শুরু হলো আক্ষরিক অর্থে গজেন্দ্রগমন। আমার ৪ বছরের ছেলে আমাকে কিছুটা অবাক করে বিনা ভয়ে দিব্বি চেপে বসলো দুই মালি র পিঠে। প্রায় এক ঘন্টা ভ্রমণ এ কিছু হরিণ ময়ূর গন্ডার আর পাখি দেখা গেলো অনেক। আর অবশ্যই বেশ কিছু হাতি। ফেরার পথে জঙ্গলের গেট এর সামনে একটা চায়ের দোকান এ চা খেয়ে হোটেল এ ফেরা হলো। পরের দিন লাঞ্চ করে বেরিয়ে পড়লাম জীপ্ সাফারি তে।  প্রায় ১ ঘন্টা জঙ্গলের এর মধ্যে দিয়ে গিয়ে জীপ্ দাঁড়ালো মাঠানগুরি মানস নদীর তীরে।এখানে একটা upper বাংলো বলে সরকারি গেস্টহাউসে থাকার ব্যবস্থা আছে।  যদিও আমি আগে সেখানে থাকার খোঁজ করেছিলাম কিন্তু জায়গা পাই নি।  পরে যদি কোনোদিন যাই একটা রাত ওখানে থাকবো মনস্থির করে নিলাম। অবশ্য জায়গাতা ভীষণ রিমোট আর সেখানেই তার রোমাঞ্চ। সামনে দিয়ে স্বমহিমায় বয়ে চলেশ স্রোতস্বীনি মানস নদী আর ওপারে ভুটান এর রয়েল মানস। ভুটানের জঙ্গলের এর শেষে ভুটান পর্বত স্বমহিমায় বিরাজমান। জায়গাতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব।নদীর স্রোতের শব্দ আর পাখির কলকাকলি ছাড়া কোনো আওয়াজ নেই। 

সেখানে কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে আবার গাড়িতে করে জঙ্গলের পথে রওয়ানা দিলাম। পথে দেখা পেলাম কিছু গোল্ডেন লেঙ্গুর, জায়ান্ট squirrel , হর্নবিল ইত্যাদি।ঘুরতে ঘুরতে একটা watchtower এ এসে কিছু ময়ূর আর বাফালো দেখতে আমরা টাওয়ার এ উঠলাম। হঠাৎ এক অদ্ভুত দর্শন।পাশের একটি ছোট্ট ডোবার পাশ দিয়ে একটি বিরাটকায় গন্ডার তার সন্তান কে নিয়ে এগিয়ে এলো।  উপস্থিত গোটা ৩০এক লোকজন কে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে নিজের মনে ঘাস খেতে খেতে চলে গেলো গভীর জঙ্গল।  আর আমাদের দিয়ে গেলো এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা। সম্পৃক্ত মন নিয়ে এবার জঙ্গল থেকে বেরোনোর পালা। হঠাৎ শেষ একটা watchtower এর কাছে গিয়ে দেখা গেলো বহুদূরে একটা নেড়া গাছের ডালে দুটো চিতাবাঘ। সাথে আনা  দূরবীন না থাকলে এ দৃশ্য দেখা সম্ভব হতো না। এতদিন এ দূরবীন কেনা সার্থক হলো।  ইতিমধ্যে সন্ধ্যে ঘনিয়ে এসেছিলো তাই আমরা আর দেরি না করে ফায়ার এলাম।সন্ধেবেলা হোটেল এ ফেরার পর মুষলধারে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে সারাদিনের স্মৃতিচারণ করে মনে হলো এ যাত্রা জঙ্গল যাত্রা সার্থক।

 তার পরের দিন বিশেষ কিছু planned না থাকায় বেলার দিকএ গাড়ি নিয়ে মানস নদীর উপর নৌকাবিহার করে এলাম।যদিও এমন কিছু আহামরি নয় অভিজ্ঞতা। আশেপাশে কোনো রকম souvenior এর দোকান না থাকায় বোঝা যায় এ পথে পযটক সমাগম খুব বিশেষ হয়না। হয়তো সেটাই স্থানমাহাত্য - ভিড় কোলাহল দূষণ মুক্ততা।পরের দিন ফেরার পালা তাই হয়তো কিছুটা মন খারাপ থেকেই ছেলে যখন তার সরল মনে বললো বাবা আবার জঙ্গল যাবো তখন নিজের মনের ইচ্ছেটাই একটা বল পেলো। তাই ব্যবস্থা হয়ে গেলো শেষ দিন ভোরবেলা শেষবারের মতো আরেকটা জীপ্ সাফারি। 

প্ল্যানমাফিক বেরিয়ে পড়লাম পরের দিন ভোর বেলা।কিন্তু এ যাত্রা দর্শন খুব কম হলো। দুই জুজিওমান হস্তী, এক ক্ষনিকের জন্য পেখম মেলা ময়ূর আর এক টা watchtower এ রাখা হাতির খুলি।  ফেরার পথে নতুন পথে যেতে গিয়ে ঘবীর জঙ্গল এ গাড়ি কাদায় আটকে গেছিলো আরেকটু হলে।  তাই আর সাহস না করে ফায়ার এলাম হোটেল এ আর তৈরী হয়ে রওয়ানা দিলাম airport এর পথে। 

কিছু শ্রেণীর লোক দেখেছি যাদের কাছে জঙ্গল এ যাওয়া অনেকটা শহরের sightseeing এর মতন - কটা জন্তু দেখলাম বাঘ দেখলাম কিনা তার উপর নির্ভর করে আসার সার্থকতা। আমার কিন্তু একটু অন্যরকম - আমি আসি জঙ্গল দেখতে যার মধ্যে গাছ জল পাখি জানোয়ার সবাই সুন্দর।যদি বলি বাঘ দেখার প্রতিখ্যা রোমাঞ্চ জাগায় না তাহলে ডাহা মিথ্যা বলা হবে কিন্তু দেখতে না পেলেও আমার যাত্রা বৃথা হয় না। কারণ আমি জানি আমি বাঘ না দেখতে পেলেও বাঘ আমাকে ঠিক ই দেখেছে। 



Sunday, November 20, 2016

Nawabkhana

ক্ষিদেয় পেট জ্বলছে আর গরমে মাথা। আমরা তিন বন্ধু সপরিবারে বসে আছি লাখনৌর স্বনামধন্য টুন্ডে রেস্তোরায়।যদিও সেটা সপ্তমী কিন্তু বাইরে ৪০ এর উপর temparature আর এই আন্ডারগ্রউন্ড  ফ্লোর এর AC র উপস্থিতি প্রায় বোঝাই দায়।  এই পরিস্তিতিতে টেবিলে এসে পড়লো কয়েক প্লেট গরম গালায়াতি বিফ আর মটন কাবাব, সঙ্গে কয়েকটা উল্টে তাওয়া পরোটা।  নরম পরোটায় জড়িয়ে কাবাব তা মুখে পড়তেই সকাল থেকে face করা সমস্ত বিরক্তিকর ঘটনা মন থেকে মুছে গেলো। মনে হলো এযাত্রা সার্থক।

একদিন আগে ষষ্ঠীর দিন সন্ধে ৬.৩০ তে আমি আর আমার বৌ indigo ফ্লাইট এ চেপে লক্ষ্নৌর পথে যাত্রা শুরু করলাম। শুরুটা খুব একটা smooth হলো না একটা coffee accident আর বিরক্তিকর ফ্লাইট delay র কারণে।যাই হোক প্রায় ৯.৪৫ এ নেমে একটা প্রিপেইড ট্যাক্সি করে আমাদের হোটেল এ পৌঁছলাম প্রায় ১০.৩০।  আমরা উঠেছিলাম চারবাগ রেল স্টেশনএর পাশে Hotel Mohan এ। পরিষ্কার পরিছন্ন হোটেল তবে একটু overpriced বিশেষ করে খাবারের দিক থেকে। আমার স্কুলের বন্ধু ছোটো  ওর বৌ মহুয়া আর মেয়ে কুহুকে নিয়েই সেদিন বিকেলে ট্রেন এ পৌঁছে গেছিলো। পরের দিন সকাল সকাল আমার tour party র বাকি মেম্বার পিকি ওর বৌ শকুন্তলা আর ছেলে রোদ্দুর কে নিয়ে হায়দরাবাদ থেকে পৌঁছে গেলো। ব্রেকফাস্ট করে আমরা শহর ভ্রমণএ বেরোলাম।চারবাগ এর অটো স্ট্যান্ড থেকে একটা vikram অটো (কলকাতার হেকে বেশ বড় ) এ চেপে অলি গলি পেরিয়ে এলাম বড়ো ইমামবাড়া র কাছের স্ট্যান্ড এ। পাশেই কোথাও দুর্গাপুজোর জন্য মাইকে মন্ত্র শোনা যাচ্ছিলো। অক্টোবর মাসেও বেশ গরমের মধ্যে আমরা হেটে হেটে রাস্তা ভুল করে ইমামবাড়া র এক চক্কর কেটে মাইন্ গেটে পৌঁছে শুনলাম মাহরাম এর জন্য ইমামবাড়া বন্ধ পরে খুলবে। ছেলেবেলায় লখনৌ এসেও ইমামবাড়া দেখা হয়নি। সেকথা মনে করে হতাশ হয়ে পড়লাম। যাই হোক দুটো টাঙ্গা গাড়ি ভাড়া করে রুমী দরওয়াজা ক্লক টাওয়ার দেখে নিলাম। ফিরে এসেও দেখি ইমামবাড়া বন্ধ আর এদিকে প্রায় ৩ বাজে। শেষমেশ একটা টোটো ভাড়া করে কোনোক্রমে ভীড় ঠেলে পৌঁছলাম টুন্ডে। এর পরের গপ্পো দিয়েই লেখা শুরু। টুন্ডে থেকে বেরিয়ে প্রকাশ বলে বিখ্যাত দোকানের কুলফি দিয়ে মিষ্টিমুখ করে ঘরে ফেরা হলো।




পরের দিন ভোরবেলা আমি আর অনন্যা এক চক্কর হেটে নিলাম আমাদের আশপাশ।আগেরদিনের দাবদাহ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এদিন একটা AC Innova তে করে বেরোলাম। কোনো সময় নষ্ট না করে প্রথমেই সোজা বড় ইমামবাড়া। মসজিদ ইমামবাড়া আর শাহী হামাম মিলে বিশাল জায়গা। আমরা লাড্ডু নামের একজন প্রাইভেট গাইড নিয়ে ঘুরে দেখলাম। এই ইমামবাড়া ছাদে রয়েছে ভুলভুলাইয়া নামের বিখ্যাত একটা গোলকধাঁধা। সেখানে নাকি নবাব তার বেগমদের সাথে লুকোচুরি খেলতো।তবে আমাদের কাছে এটার বাড়তি আকর্ষণ সত্যজিৎ রায় এর বাদশাহী আংটি। তবে ভিড় আর চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে একবারের জন্যও গা ছমছমে ভাব টা এলোনা।ইমামবাড়া দেখে বেরোতে বেশ দেরি হলো। আমরা গাড়ি নিয়ে গেলাম ইদ্রিস এর বিরিয়ানির খোঁজে।এক রাস্তার মোড়ে ড্রাইভার নামিয়ে আগের রাস্তা দেখিয়ে বললো ওদিকে পরবে। আমরা তিন বন্ধু মিলে হাঁটতে গিয়ে দেখলাম সেই রাস্তায় হাজার হাজার লোক মহারাম এর প্রস্তুতি নিচ্ছে। মনে হলো যেন মহম্মদ আলী পার্ক এর ঠাকুর দেখতে এসেছি। অবশেষে খুঁজে পেলাম ইদ্রিস এর দোকান এর যেটা আমাদের পাড়ার চায়ের দোকান থেকে একটু বড় হবে। খাবার নিয়ে হোটেল এ ফিরে বিরিয়ানি আর মটন কোর্মা মুখে পড়তেই বুঝলাম কেন দোকানের এতো সুনাম। সুবাসিত  বিরিয়ানির সাথে মোলায়েম মটন খেয়ে সবার দিলখুশ হয়ে গেলো। খেয়ে বেরোলাম রেসিডেন্সি দেখতে। সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজ সেনাদের কোয়ার্টার এর ভাঙাচোরা ধংসাবশেষ সুন্দর করে মেইনটেইন করা আছে। আমরা একটা মাঠের মধ্যে খালি পায়ে সবাই মিলে ঘাসের উপর লুটোপুটি খেলাম কিছুক্ষন। সন্ধ্যে নামতে হোটেল ফেরত। সামনের ধর্মশালার দুর্গাপূজা দেখে একটু ঘরের কথা মনে করে নিলাম।














পরের দিন ভোরবেলা উঠেই আমাদের সামনের মিষ্টির দোকান থেকে জিলিপি দিয়ে দিন শুরু হলো। আজকে আমরা সোজা গেলাম ছোট ইমামবাড়া। খুব বিশেষ কিছু না হলে বেশ সুন্দর সাজানো একটা স্মৃতিসৌধ। এখানে গাইড নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ভেতরে নানা রঙের ঝাড়বাতিগুলো খুব সুন্দর। সেখান থেকে ফটো গ্যালারি আর ক্লক টাওয়ার দেখা হলো। এগুলো বাদ দিলে কেউ কিছু miss করবে না। এরপর আমরা গেলাম seva চিকনকারী র দোকান। comfortably বসে চিকন এর কাজ দেখতে চাইলে এটা ভালো জায়গা। একটু বেলা করে প্রায় বিকেল এ আমরা লাঞ্চ করতে গেলাম নৌশিজান বলে একটা রেস্টুরেন্টে। এখানকার কাঁকড়ি কাবার তা অদ্ভুত সুন্দর ছিল। সেখান থেকে সোজা আম্বেদকর পার্ক। একটা সুবিশাল জায়গায় প্রচুর টাকা খরচ করা বানানো এখানকার স্থাপত্যের এক নিদর্শন। খুবই সুন্দর তবে ভাল করে দেখতে অনেক সময় লাগতো। আমরা কিছুক্ষন ঘুরে হোটেল ফিরে এলাম।

পরের দিন সকালে বেরিয়ে আমরা লখনও ফিরলাম আবার ৪ দিন পরে। সেদিন বিকেলেই অবশ্য আমরা ফেরার প্লেন ধরলাম। সেদিনের দুটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল ছোটোদের প্লেনের টিকেট এ দিন কে রাত্রি করে দেয়া আর দস্তারখান থেকে অপূর্ব লাঞ্চ। সন্ধ্যেবেলা প্লেনে বসে ভেবে দেখলাম লখনও আর কিছুর জন্য মনে থাকুক আর না থাকুক এখানকার অবধী রান্না কোনোদিন ভোলার নয়। আমরা কলকাতার লোকেরা এখানকার বিরিয়ানি নিয়ে খুব গর্ব করি কিন্তু আমার অকপট স্বীকারোক্তি আমার খাওয়া সেরা বিরিয়ানির মধ্যে ইদ্রিস সবার উপর থাকবে। আর সেকারণেই হয়তো লখনৌ আবার কোনোদিন টেনে নিয়ে আসবে।

Sunday, March 27, 2016

The Old City


Remember the sequence in “Jai Baba Felunath” where Feluda and Co. visited the Dasaswamedh Ghat for the first time in the movie. They were looking at the congregation of “Machli Baba” and the boarding house manager draws their attention to the unmistakable Magan Lal Meghraj riding his grand Bajra. In another sequence Feluda followed Machli Baba through the dingy lanes to reach the ghat. These were probably the first images which planted the wish to visit Benaras or Varanasi in my teenage mind. After that plantation earth travelled many times around the sun and the wish was lost between the complexities of life. Recently after watching another sleuth Byomkesh running around the town in the movie “Har Har Byomkesh” rekindled the wish. This time it wasn’t to be missed and the plan fell in place.

Day 1
While making this wish true I fulfilled my another wish of travelling by the Rajdhani Express. We boarded a 2 tier compartment of Sealdah Delhi Rajdhani express on 12th February. My in laws were accompanying us. I don’t know about you but I love train journeys way more than flights because of the sheer laziness of doing nothing for a considerable amount of time. In the life that I lead today getting a 8-10 hours of “no rush” time is amazing. However I won’t suggest travellers to take this option to go the Benaras due to the weird timings. We got down at Mogulsarai junction at around 1.10AM at night and boarded the hotel taxi. Even at those hours it took us around 40 minutes to cover 25kms because of the horrible stretch of road between the highway and the city. We were staying at the Hotel Heritage Inn around the Anandamoyi Hospital area near Assi Ghat. My in laws got a nice room but our room looked like a small cheap love nest kind of room which we demanded to change the next morning. 

Day 2
Next day after breakfast we booked the hotel sight seeing package to start from that afternoon. Then we went for a walk to the nearest ghat and took a first look at the Ganga. It was Saraswati Puja and I was a little surprised to see the frequency of the community pujas around. Once at the ghat got the first taste of the famous steep staircase to the river. It was scorching hot even in the mid February as we walked by the river through sequence of ghats. The river with all her holiness was very very polluted. I could see hoards of buffalos bathing and people washing their cloths in the ghats. The water was pitch black. We walked all out to the famous Dasaswamedh ghat where we left the ghat and entered the crowded roads. The town is as full of life as with garbage. With help from Google map and local people we managed to find the target. We had our lunch at the “Dasaswamedh Boarding House” - the hotel used during “Jaybaba Felunath” to make the Calcutta Boarding House. It was pure bengali home food and the place looked Jurassic. To preserve the heritage nobody cared to put a coat of paint in probably last 50 years. However the sheer joy of sitting at the same hotel made me so nostalgic that I bet I could hear the iconic background music of the movie all the time.   
The return journey was even confusing as we got a taste of the famous by lanes through the Bangali Tola. We kept on walking through the dingy lanes where people were speaking only bengali but couldn’t find a road with the other form of commute than walk. Finally we took an auto rickshaw and reached the comfort of the hotel. At that point I realised that Benaras is really a quite small town. If you can tackle the blazing sun you can easily roam around the town on foot. 
In the evening our Boatman came to hotel to start our evening tour. We were going to see the evening aarati at the Dasaswamedh Ghat. We went to the ghat near our hotel an onboard on our designated boat. It was around 5 and the atmosphere was pleasant. The sunlight was departing but it as still enough to click few snaps around. We went through the different ghats where our boatman described the history of many of them. We had tea seating on the boat at one of those ghats. Eventually we took our position at the Dasaswamedh ghat and waited for the show. This was one of the top draws of my visit. Eventually it started around 6. There were 5 priests neatly dressed to do that Aarti on 5 designated positions by the ghat. Accompanying them were a group of bhajan singers chanting the shlokas. The prayer was nothing like I’ve ever witnessed and the whole show and the atmosphere was mesmerising. This is their Agni Puja where they worship the Lord Shiva, River Ganga, the Sun and the Fire. The entire thing with the songs, chanting, dancelike movements with large brass lamps with a snake hood, conch shells everything was so magnificent. The beautiful ritual made the moment of the evening period special and filled with spiritual thoughts. The big crowd in the ghat and on the river was mesmerised throughout. The entire thing was over in 45 minutes and we started our return journey. After returning we went to pay a visit to an very old relative staying at a dilapidated house in the middle of Bangali Tola. She was fragile and barely surviving in the middle of the densely populated place. In spite of that her love to us was really amazing. We also had some sweets in Kheer Sagar. I had some worm saffron milk before returning back to hotel. 

Day 3
Day 2 started very early. It was Sunday and we started at 6 to wards the famous Biswanath Temple. The sun was still rising and the river was already crowded. There were hundreds of seagulls flying around. We bought some food from another boat and started feeding them. The boatman called them in a unique sound and soon 50-60 birds were fighting for the food. It was so beautiful experience. In between the sun came up. We soon reached a deserted ghat from where we started walking towards the temple. The lanes were as usual very dirty and stingy. Many people were walking barefooted and just watching them made me sick. Soon our boatman took us to a prasad shop just beside the gate 2 of the temple. In their we deposited our belongings including shoes to a locker. We also bought two puja thalis and employed a priest. He took us from the heavily guarded Gate 2 towards the temple. We were fortunate that there was almost no crowd till that time. Otherwise the narrow lane and gate would’ve a nightmare. We went inside the main temple premises and soon our darshan was over. I couldn’t believe that we had such an easy darshan as this temple is one of the holiest in the religion. Gods grace was really shining on us that morning. We also went to another temple of Devi Annapurna and offered our prayers. We went out through the same gate and took our belongings. We returned to our boat after having some milk heavy tea. on our return journey we again fed the birds. We also managed to see a ganga dolphin galloping in the water. It’s only natures miracle how they survive in such polluted water. 
After lunch we went for a city tour. We first visited the Benaras Hindu University campus. It was huge and beautiful. We went to see the Birla Temple inside the campus. Then we went to visit the Sankat Mochan temple. Beware of the monkeys as the place is infested with them. However the sweet shop inside was selling the best pedhas and we bought a lot for bringing back. Then we went to one of the authentic Benaras silk saree shop. 
In the evening me and wife went on foot to find “Bana Lassi” deep inside the bengali tola. We got another taste at the “Kashir Gali”. Eventually we found the shop and had a glass each of amazing lassi. Late that evening we managed to get authentic bong food in a german bakery shop. It just turned out that the owner and the cook were bongs and they were happy to serve us. 

Day 4


Next day was a little lazy. We started for our final tour towards Sarnath temple. The place was nice but the heat was unforgiving. There’s a huge museum. We took our lunch in a  shack and started back for the hotel. In the evening we went to the Assi Ghat and witnessed the Aarti there. It was a bit small scaled but beautiful nevertheless. The Assi Ghat itself was the cleanest of the lot and it was evident that our PM visit had some effects. It was the end of the tour and we took our train back from Moghulsarai at 1.30AM at night. 

It was a nice trip and a long pending one. The town left an impression of a place which is probably changed very little in the last few thousand years. The place is dirty and very densely populated. Probably the local people equals the number of cows walking around. But still there's a different from the big city as the people don't have the hurry in life. They aren't always running to earn more or do the corporate slavery. Much like the river the life in Benaras flows down slowly asking the travellers to value the time in life more than anything.

Saturday, November 14, 2015

Pondicherry tales

অনেক দিন কোথাও বেরোনো হয়না বলে বেশ কিছুদিন ধরেই অনন্যা ঘ্যানঘ্যান করছিলো। বন্ধুরাও সব সদ্য পিতৃত্ব phase এ ঢোকায় আমিও একটু ল্যাদ খেয়ে গেছিলাম।তাই একরকম তরিঘরি করেই পন্ডিচেরী। 

idea টা এসেছিল যখন আমার এক coleague ওখান থেকে ঘুরে এসে ছবি পোস্ট করলো facebook এ. সমুদ্র আর একটা পুরনো french কলোনীর charm টাই place selection এর main কারণ। যাই হোক দিনক্ষণ ঠিক করে প্লেনএর ticket কেটে ফেললাম।নির্দিষ্ট দিনের আগের রাতের office এর কিছু লাস্ট মিনিট নাটক কাটিয়ে ৬th november ২০১৫ শুক্রবার ভোরবেলা আমি আর অনন্যা বেরিয়ে পরলাম কলকাতা এয়ারপোর্ট এর দিকে। ১০.৪০ নাগাদ আমরা চেন্নাই এ নেমে গাড়িতে উঠে রওয়ানা দিলাম। চেন্নাই থেকে পন্ডিচেরি ১৪০km distance . আমরা পন্ডিচেরির অরবিন্দ autocare services থেকে ট্যাক্সি বুক করেছিলাম।একটা সুন্দর নতুন গাড়ি তে আমাদের নিয়ে যাত্রা শুরু করলো। রাস্তা খুব সুন্দর। চেন্নাই থেকে বেরোনোর আগেই কত কমার্শিয়াল ম্যানুফ্যাকচারিং কমপ্লেক্স দেখে কলকাতার কথা ভেবে একটা ভারী নিঃশাস ফেললাম। ম্যাপ দেখে আগে মনে হয়েছিল বঙ্গোপসাগর এর পাশ দিয়ে রাস্তা যাবে কিন্তু গোটা রাস্তা খালি সমুদ্রের গন্ধই পেলাম। মাঝে একজায়গায় কড়া মাদ্রাসী ফিল্টার কফি খেয়ে মোটামুটি ১.৩০ নাগাদ আমরা আমাদের guesthouse এ পৌছে গেলাম। কলকাতা থেকে বেশ খানিকটা গবেষণা করে আমি Colonial heritage বলে একটা গেস্ট হাউস এ রুম বুক করেছিলাম। সেই আগ্রা র পর থেকে আমার বড় হোটেল এর থেকে ছোটখাটো বুটিক হোটেল বা গেস্ট হাউসএ থাকতে বেশি ভালো লাগে।আর তাছাড়া পন্ডিচেরি র মত একটা হেরিটেজ টাউন এ আমার এই ছোটখাটো হাউস তা বেশ লেগেছিল ইন্টারনেট এ। বাইরে থেকে দেখে বোঝাত উপায় নেই যে এটা একটা হোটেল।আসলে শহরের এই অংশটা white town নাম পরিচিত। আগে french colony র সময়ে এই অংশে ফরাসী কোয়ার্টার আর ভিলা ছিল। এখন সেইগুলোকে কিছুটা remodelling করে অনেক হোটেল/গেস্ট হাউস হয়েছে।






ঢুকেই একটু চাঞ্চল্য হলো যখন হোটেল এর এক স্থানীয় কর্মচারী straight বলে দিল আমার নামে কোনো বুকিং নেই। যাই হোক শেষ অবধি পাওয়া গেল record আর আমাদের রুম এর চাবি দেওয়া হলো। প্রচুর গাছপালা ঘেরা বাড়িটা দেখেই মনটা ভরে গেল। আমাদের ঘর ছিল দোতলায়। ঘরে ঢুকেই অবাক - একটা প্রকান্ড দোলনা ঘরের ঠিক মাঝখানে।ঘরটাও খুব heritage রেখে খুব esthetically সাজানো।  চারিদিকে oilpainting , পুরনো antique আসবাব , একটা পালঙ্ক যার উপর সেই পুরনো দিনের মত গোল করে মশারি টাঙানো। ACta না থাকলে মনে হত হঠাত ১০০ বছর সময় পিছিয়ে গেছে। 

আমরা আমাদের ব্যাগ রেখেই বেরিয়ে পরলাম পেট কে শান্ত করতে।আসার আগে বিস্তর খোজখবর করা হয়েছে খাবার নিয়ে। তাই এক্সপেকটেশন আর খিদে দুটোই প্রবল অস্তিত্ত জানান দিচ্ছিল। কিছুটা হাঁটতেই একটা রেস্টুরেন্ট(Le Chateau) এর বাইরে দেখি লেখা Todays Special - lobster ravioli with crab meat sauce আর লোভ সামলানো গেল না ঢুকে পরলাম।ঢুকে দেখি আমরাই একমাত্র খদ্দের তাই আমাদের জন্যই সব চালু হলো । আমার অর্ডার তো রেডি ছিল আর অনন্যা দিল grilled মাছ। সাথে আমি নিলাম chilled beer আর অনন্যা একটা জুস। অনন্যার কথাই ঠিক হলো যে রান্নাঘর আমাদের দেখে খোলা হয়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ বসার পর খাবার এলো।  খিদে আর অসম্ভব ভালো স্বাদ মিলে ফটাফট খাওয়া শেষ হয়ে গেল । সেখান থেকে আমরা গেলাম শহরের বিখ্যাত confectionary Zuka তে।  চকলেট এর নানারকম innovative delicacy নিয়ে বেশ ইন্টারেষ্টিং দোকান। একটা white chocolate এর পাকোড়া খেলাম আর অনন্যা মনের সুখে cake কিনলো। তারপর ঘরে ফিরে একটা ছোট্ট দিবানিদ্রা। 

সন্ধেবেলার আগে ওঠা গেল না।  উঠে আমরা বেরিয়ে পরলাম সমুদ্রর ধরে ঘুরতে। পন্ডিচেরি খুব ছোট শহর এবং মূল শহরের দ্রষ্টব্য গুলো হেটেই দেখে নেওয়া যায় । চাইলে auto নেয়া যায় কিন্তু বেকার টাকা নষ্ট হয়। এখানে সমুদ্রর ধারটা খুব সুন্দর করে বাঁধিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। এরা বলে Promenade আর এখানে সন্ধ্যে ৬ থেকে সকাল ৭ টা অবধি গাড়ী চলাচল বন্ধ।  ফলে অনেক লোক মনে আনন্দে হেটে বেড়াচ্ছে বসে আছে আড্ডা মারছে বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করছে - সবমিলিয়ে একটা ভালো লাগা পরিবেশ। আমরা ধীরে ধীরে হেঁটে চলে এলাম ভিনায়াগার মন্দিরে। শহরের মত মন্দিরটাও ফাঁকা। লোকে পুজোর ডালা বিক্রি করছে কিন্তু বাকি জায়গার মতন বিরক্ত করছে না। মন্দির এর main আকর্ষণ লক্ষী বলে একটা হাতী। মন্দির এর প্রবেশ্দার এর বাইরে দাড়িয়ে আছে শান্ত হয়ে আর যে তাকে পয়সা দিচ্ছে তাকে সে মাথায় শুঁড় দিয়ে আশির্বাদ করছে। পয়সাটা ঠিক মালিকের হাথে দিয়ে দিচ্ছে। মন্দির তা বেশ সুন্দর।  আরাধ্য দেবতা গনেশ। গনেশ এর নানা রূপ মন্দিরে বানানো নানা রং দিয়ে। 

মন্দির থেকে বেরিয়ে আমরা হেঁটে হেঁটে মাপ দেখে পৌছলাম Cafe Xtasi তে। এটা শহরের বিখ্যাত wooden oven pizza পার্লার। এমন কিছু না হলেও আমরা ডিনার করে গুটিগুটি পায়ে হোটেল ফিরলাম। ফিরে আলাপ হলো হোটেলের ম্যানেজার Sabine এর সাথে।  ফরাসী ছোটখাটো মহিলা। এটাও বুঝলাম হোটেলের বাকি সব boarder ই বিদেশী। 

পরের দিন সকালে ব্রেকফাস্ট এ তাজা crossaint খেয়ে আমরা বেরিয়ে পরলাম পন্ডিচেরীর মূল আকর্ষণ Auroville এর উদ্দেশ্যে। এটা শহর থেকে ১৫Km দুরে তাই আমরা একটা Auto রিসার্ভ করে রওয়ানা দিলাম। ঋষি অরবিন্দ ও শ্রী মার আদর্শে তৈরী এক বিস্বনগরী। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের লোক এসে এখানে থেকে সহজ সরল জীবন যাপন করে, নিজের পছন্দ মতন কাজ করে আশ্রমএর সেবা করে । খুব সুন্দর করে বানানো আশ্রম। ভিসিটর সেন্টার থেকে প্রায় ১KM হেঁটে মাতৃমন্দির । তবে মন্দিরের ভিতরে যাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার কারণ দিন দুএক আগে থেকে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে তবে যাওয়া যায়। আমরা বাইরে থেকে ভালো করে দেখে ছবি তুলে ফিরে এলাম। পথে একটা বিরাট বটগাছে প্রচুর পাখি দেখে অনন্যা উত্তেজিত হয়ে পরেছিল। কিছু souvenier কিনে আমরা ফিরে এলাম ১টা নাগাদ। ফিরে সোজা The Promenade হোটেল এ ঢুকে একটা অসাধারণ বুফে লাঞ্চ করলাম । হোটেল এ ফিরে বিশ্রাম নিয়ে সেদিন সন্ধে বেলায় বেরোনো হলো শপিং এ । ফিরে এসে আমরা আবার Promenade এ রুফটপ এ ডিনার করলাম। এবারেও অপূর্ব খেয়ে হোটেল । 

রবিবার সকাল থেকে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হলো। এর মধ্যে আমাদের রুম পাল্টাতে হলো। দুপুরে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে Auto করে গেলাম Baker Street বলে একটা eaterie তে। এ শহরে মোটামুটি সব বড় দোকানেই ইংলিশের সাথে ফরাসিও চলে। ওখানে খেয়ে Zuka তে চকলেট কেনা হলো।  বিকেলে বর্ষার সমুদ্র দেখে আমরা ওখানে একটা সুন্দর churche  এ গেলাম । নাম Sacred Heart Bassilica। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছিল । রাত্রে আমাদের হোটেল এর পাশে celine's  Kitchen এ lobster আর red snapper খেলাম। ঘরে ফিরে packing করে ঘুম। 

সোমবারও বৃষ্টির কোনো শেষ নেই। তার মধ্যেই আমরা ট্যাক্সি তে চেন্নাই এসে কলকাতার প্লেন এ ফেরত।

Friday, January 3, 2014

Himer Anchole( in the lap of snow)



The best part of the year arrives at the end when we embark upon the journey of the year. It's like cooking - we prepare for half of the year for the 9 most exciting days and as soon it starts it vanishes in thin air.

This year the tour was complicated. Choto and Mahua missed the tour this year as they became proud parents. Debleena's new job didn't allow her to take more than 4 days leave. So me and piki devided the tour between pre-Nachu and with-Nachu tour.

When the wait for a break from the mundane stressful regular life became unbearable we arrived in the new Kolkata airport terminal on a cold and hazy morning of 21st December. Mama( my GL in Alcoa) was also traveling in the same flight and more than the gloomy weather his photos of Taj during last winter made my heart sink as there was nothing to see in the except the haze. The Indigo flight to Delhi started an hour later than schedule and reached Delhi terminal 1 at 12.15pm. Piki and Shakuntala were already there and we met at the luggage belt. After some struggle we finally found our cab driver Monty  and started towards our first destination in the green indigo. Soon we realized the confusion of old Delhi and inefficiency of Monty about road direction when it took us around 2.30 hours to reach Chandni Chawk the world famous "Paranthawali gali". Probably world narrowest wonder. A side lane from the crawling Main Street, the "gali" served some lip-smacking varieties of Parantha along with delicious lassi. No glamour no cleanliness but pure culinary magic and gastrnomical extravaganza. We gorged on 4-5 varieties and then had 50 rs a piece Jalebi to finish up the lunch. With a disgusted driver we started our journey to my sister's place a noida. 

Noida did impress us with its beautiful roads and extravagant  shopping malls. Everyone were waiting for us and it was so good to see my little sis with her little one. All my attempts of striking up a mama relation with my niece failed. However my sister's made it up with the amazing dinner and Bubla provided the icing with his rockstar avatar in the small post dinner session. End of first day. 


Sunday morning started anxiously late but soon we were ready to start our journey. After an amazing lunch courtesy my aunt we had a small photo session where at last I could tempt my niece to my lap. We bid adieu the dear family and started our for Vrindavan. We were with Rajat and his comfortable innova. After around 20 Minutes if started we started rolling on the Delhi Agra Yamuna expressway and I must say I was awestruck. There was a road which could compete with US with the road quality. We took a small break after crossing Mathura toll and experienced UP atrocity with ridiculously priced items in a small complex. As soon we entered Vrindavan people started trying to stop the car and we came or know from Rajat that those were guides trying to catch their prey. After a bit of searching and iPhone GPS help we finally found our nest - Kridha Residency. It was in the outskirts of the main hoi polloi of the town and was near the prem Mandir. We opted for a little luxury of an executive room with twin bedrooms. The room was amazing though a few infrastructure issues. Biggest of them was the safe which we thought to use to keep our valuable belongings as the reputation of the town doesn't allow one to carry more than required cash. Anyway soon we were out to explore. We first headed to the "Ranganathan Temple" where we parked our car. It is a South Indian styled temple with multiple Gopurams. The area was big and old. I made a boo boo when i lost my ear guard and made Ananya search the temple before I found it tucked to my wrist. There are constant requests of guides who demands as less as ten bucks to show around. But honestly there isn't much to show. 

We rushed to "Kesi Ghat" in rickshaws. The walking path from the road to the ghat was infested by monkeys but we braved through and they didn't seem to mind. We had grand plans to hire a boat and see the lamps on the Yamuna river. But as soon we saw the health of the river we dropped the idea. The river here wasn't broader than a stream and as heard the water was pitch black. But the ghat was with old charm and a place to visit. There was a puja going on with music and chanting. Candles covered in glasses were lit and with the looming dusk the place had it's moments. We spend some time there and soon the place started desolating. We started back on foot through the narrow lanes with the life of the town coimg to a halt for the day. The various shops around were getting closed even though it was only evening. We snacked with some samosa and jalebi and some sweets. It was dark when we reached our car and we started for The Iskon temple. 

The Iskon temple is popularly know as the Krishna Balaram temple. Like the other Iskon temples I've visited this one also was epitome of cleanliness and opulence. After the outer temple of Prabhupada we went into the inner temples. The scene was memorable. In the beautifully decorated temple there were three rooms with various idols of Krishna, Balaram, Radha and gaur nitai. Hundreds of people were singing and dancing to the universal tunes of Hare Rama Hare Krishna.  The main singers were of western origin and people from all corners of life were participating. The loud music, the atmosphere, the dances were electrifying. I've not seen a more energetic aarti. We stayed during the entire firangi kirtan. To me this was the best experience of Vrindavan.
After the amazing experience we headed from the last Mandir of the evening The Prem Mandir. This was sheer extravaganza. A Mandir built with over 160 crore was true to its grandeur. The lighting scheme of the entire area both inside and outside was automated and changed colors after every 30 secs. The lifelike portrayal of different phases of Krishna were sculptured outside of the temple. 






After gathering enough Punya for the day we headed back for our hotel. But before that we managed to procure couple of 100 pipers from outside the town and got back. We took our dinner at Dashaprakash - the award winning restaurant of the hotel and had an amazing gastrnomical experience. Back to our room we attentively watched Sunny Leon in TV before dozing off. 

Next morning after sumptuous breakfast we checked out and started for Govindji Temple. This was ramshackle  of the original temple built by Man Singh. Aurangzeb only left three stories remaining of the original seven stories. The structure is mammoth and heavily infested of monkeys. I had a glass of famous lassi but honestly the taste didn't leave any mark on my taste diary. From there we stopped in a famous pedha shop to buy some and then started for a Fatehpur Sikri. 

We reached after couple of hours and in the car parking area we settled for a guide for 700 bucks. We rode a bus from them parking lot to thee main entrance. After leaving the shoes off we entered the famous area. The structure had the famous Buland Darwaja, the Jama Mashjid and the Dargah of Salim Chisti. Every structure was made of Akbar's favorite red stone apart form Dargah which is of white marble. As it says in history Akbar had this fort town built to stay near Salim Chisti. But nobody could stay here for long due to acute scarcity of drinking water turning it to a ghost town. We saw the graveyard, inside of the Dargah, entrance to a secret passage which opens in the residency.  We saw the Jama Mashjid. I was surprised to see urchins roaming around the foreigner tourists speaking various languages in immaculate pronunciation. They were offering guide service. Next to the Mashjid is the magnificent Buland Darwaja. The sheer magnitude of e structure is awe inspiring. The common courtyard in the middles of this structures will make you remember movie "Pardes". In the middle of the structure was the holi Dargah of Salim Chisti. The pristine structure made of white marble is a symbol of peace. People tie different colored "dhaga" as tokens of their prayers and wishes. 











Our guide was a little bit pissed off over our overenthusiasm of photography. Eventually we came out of the main sikri and we started off for the royal residency beside the fort. We were with a new guide and really liked that guy. The residency was used for the stay of Akbar and his three wives - Hindu Jodhabai , Muslim Ruqaiyya Begum and Chistian Mariam. Each of the begums had her own Palace. We started off  with Jodhabai palace. Specifying the marvel of yestreyears engineering, the mahal had tow distinct sections to be used in summer and winter. While the summer mahal overlooked a garden and a waterbody for cool breeze, the winter mahal was attached to the royal kitchen to keep the rooms warm. Even the bricks and red stones were carved in such a way to allow maximum passage of breeze. We entered the panch mahal area and saw the Dewan e Khas, Dewan e Aam, Seshmahal etc. There was large waterbody in center of which was a seat famous for the musical maestro Tansen. Right infront of it was Akbar's bedroom. As Akbar was short man the roof of the entrance of the bedroom was short to make even the tallest of them to bend infront of the nawab. The whole place is so immaculately maintained that if you stop and close your eyes, you can still feel Tansen singing from the middle of the lake and the emperor listening from the 5th floor of the panch mahal. The residency was a special treat and would have missed the major part if we opted out of it. 











When we returned the parking we were famished. We shopped some local souvenir and started for Agra. We stopped at a Dhaba named Gangour as per our guides recommendation. We were super hungry and also hadn't had non veg since Delhi. We ordered whatever they could promise to serve fast. Even in that condition the food disgusted us and we thought of some selected adjectives for our guide. With utter disgust of overpriced bad food we started for the final leg of that day to Agra. It was dark and we reached our handpicked hotel Dolphinn Homestay around 8pm. The hotel met all the expectation and was one of the loveliest cozy places I ever stayed. It had not more than ten rooms and we took two adjoining double bed rooms. The rooms were a bit cramped but the bed was super soft. The magic of the hotel exposed itself in the dinning table where I had the most amazing mutton stroganoff I ever had. All the items were so tasty that I would never stay anywhere else in this city. The soft bed felt even softer with a happy stomach.


24th December morning we started early after a quick breakfast from the hotel. Our guide for the day Mohinuddin was a decent guy with a nice way of telling the stories. Our first stop was Agra fort. There was originally a brick fort build by Rajputs before it was captured by Mughuls after the first battle of panipat. Since then almost all Mughul empreors stayed there. Shahzahan was the person responsible for the current structure. We wnt inside through the Amar Gate. The sloped road was created in such a way that during attack hot oil flowed through the road burning the invading soldiers and carriages. The most notable place in the fort was the place where shahjahan was kept locked during his son's reign. He could see his beloved Taj Mahal from this place but we were not that fortunate because of the heavy fog. The palki shaped palaces for Roshanara and Jahanara - the two daughters of Shahzahan. These structure bore the stamp for Shahjahan as this were the white marble structure within the red stone fort. There is a hole in the structure created by british shells and when we saw it two beautiful parrots were romancing from that hole. It was a wonderful sight to see vibrating life peeking from the ruins of war. The inside gardens were also very well maintained. From the fort we came back to hotel finding out that power was off since morning. We checked out from the hotel, took our lunch and kept our luggages in the hotel to collect later.

We then started for the highlight of the tour and the biggest attraction for me atleast - The Taj Mahal. After parking the car we took a tanga to the East Gate of the monument. To our amazement we didn't get much crowd in that gate and we were inside in a jiffy. I was so excited. Like many in the world I'll never forget the sight of Taj Mahal first seen from the gate. It is truly the epitome of beauty and peace. The garden the water and the monument itself with all it's glory is the most beautiful structure in the whole world. All the trouble of arranging the tour and all the money that went behind the tour became more than worth to me after looking at it. It was swarming with tourists but we found our way. We managed to get a bench in front to take down some memorable snaps. It's a bit difficult to take a good snap of Taj because of it's color and light the marble reflects. We also thanked the gorgeous day without a slightest hint of Fog and full sunlight. Luck was shinning for us and we took the full advantage. We drank the elixir of Taj's beauty to our heart's content.

We took our lunch at the hotel and headed back from the next part of our tour. We started our long journey back to New Delhi. Two of our friends Arijit and Debleena were supposed to meet us at New Delhi Cantonment Station and we were supposed to take our train from their to Pathankot. The quaint journey with music and fulfilling memories of the day suddenly hit a hump when our driver told us that it'll take another 4-5 hours to reach the station when we just had a couple of hours for the train to leave. Me and Piki frantically started thinking about our available options. The only viable option we could think was to catch the train from the Hazratbal station. However we took a leap of faith and decided to stick to our plan and headed towards Delhi Cantonment with tensed checks in Mobile gps and constant nudge to our driver "jaldi chalo bhaiya". We almost crossed entire to reach the remote station with 10 minutes remaining for the train. While settling the dues we met our waiting friend Arijit and came to know from him that the train is couple of hours late. It was a feeling of relief combined with a rare mix of frustration. However our group was complete with Nachu and Debleena. It was 24th december night in a dark and empty platform in chilled Delhi.  We gorged upon some roadside aloo tiki pav for the dinner and boarded the train. We were supposed to reach early morning so we dozed off after sharing a bottle of whisky mixed Pepsi.






Monday, June 23, 2008

Wet in Put In Bay




21st June, 2008 Saturday
It was not a lazy comfy Saturday for me. It's the long deep-laid day when I went to Put In Bay. We were supposed to start at 7.30 AM but eventually started at 8.15 AM. Here 'WE' stands for my room mate Soumya, friends Ankita, Arijit and Sampali Pramanik, Pallab and Anindita Pahari, Santanu and Kirti Mandal and their child Srihsti.



We had to rent the car from Airport so I drove all of us to Pittsburgh Airport. We took a Chevrolet Malibu and started our journey towards Catawba. Soumya and Ankita were the drivers and hence me and the Pramaniks were slipping at the back. We took a break at a rest place and had some food. We ultimately reached there around 1 pm. It was a pain to get a parking place.





It was quite hot and humid out there. We rode a Miller ferry towards our destination. Put in Bay has three islands South Bass, Middle and North Bass. Among them South Bass is the place people visit. The Ferry can take both cars and people. We chose no
t to take our cars.
As soon I was in the boat deck I started shooting photos of each and everything pretty much like Japanese tourists. Afterall thats my prime incentive while travelling. We reached Put In Bay in around 20 minutes. The place was looking lovely when we got down but the sky was frightening.

All our prayers gone unanswered when the sky fell down as soon we went down the boat. It was dark like evening and it was raining heavily. We ran to the Golf cart renting center and waited there for the rain to stop. But the rain god was in no mood to stop. When it turned into drizzle we rented two golf carts and started our journey. I got to drive one of them and excitedly started driving.





The road was scenic and the cart was neat. We were driving through some farm houses and empty lands. But our merriment didn't last long. Just five minutes in our journey the rain returned in its full glory and strength. The cart had no cover in the sides and everyone was completely sopping. Furthermore there were no place to stop the cart and take shelter. So great was the force of the rain that I was literally driving the cart with my eyes closed. We saw a shop beside the road and without thinking further parked our cart and took shelter in there. We were completely drenched. When the girls went inside the shop, me and Arijit da took off our shirt and drained the water as much we could. We bought some protection from rain in the form of plastics and wore them before we started. It was horrible as each one of us were completely soaking with water. My trousers became so heavy that I was afraid it will fall down. But God saved me from that embarrassment.


Somehow we started again and reached the happening part of the city. We got into a restaurant and before ordering anything we went to restroom. There we invented the act of drying our dresses with the blower. We tried all sorts of acrobatics and worked to an extent. Then we went to a shop beside it and I bought a T-Shirt to remain wet I guess. It was aptly captioned 'My life is crap'.